সোহেল রানা কুষ্টিয়াঃ আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী । ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নির্দেশে আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জন করি। দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেন স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
কিন্তু মাত্র ১৩১৪ দিনের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে স্ব-পরিবারে শহীদ হন বাঙ্গালী জাতির পিতা। ১৯৯১ সালের সাধারণ নির্বাচনে সংসদে বিরোধী দল নির্বাচিত হয় আওয়ামী লীগ। দল কে পুনরায় সুসংগঠিত করতে এইটা ছিল সুযোগ । যার ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালের জাতীয় সাধারণ নির্বাচনে জনগণের বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনার সুযোগ পান জননেত্রী শেখ হাসিনা ।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২০০৮,২০১৪,ও ২০১৯ সালে। তাঁর বলিষ্ঠ নের্তৃত্ব দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনের বেশিরভাগ সময় জেলে কাটিয়েছেন এদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের জন্য। স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি আজ আমাদের মাঝে নেই। কিন্তু তাঁর আদর্শ,সংগ্রাম আমরা বুকে ধারণ করেছি যার মাধ্যমে তিনি আমাদের হৃদয়ে চিরঞ্জীব।
তাঁরই অসমাপ্ত কাজ অব্যাহত রেখেছেন আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । তিনি বাংলাদেশের পুনর্জাগরণ ও সমৃদ্ধির জোয়ার সৃষ্টি করেছেন। তাই গোটা জাতি আজ তাঁর নের্তৃত্বে ঐক্যবদ্ধ । ৭১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে এমনটাই প্রত্যাশা আমাদের। কোন অপশক্তির ষড়যন্ত্র সফল হবে না।