লিপু খন্দকার ঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর উপজেলার চাদপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, নামমাত্র সিমেন্ট এবং টাইলস বসানোর পর সঠিকভাবে কিউরিং না করা, দেওয়ালে সিরিস না করে রঙ করা,কাঁচা কাঠ দিয়ে দরজা বানানো সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অলোক কুমার কুন্ডুর নয় লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার সংস্কার কাজের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।
শনিবার সকালে সরেজমিন গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা, চাদপুর ইউপি চেয়ারম্যান রাশিদুজ্জামন তুষার, ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেলিম ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জমিদাতা আব্দুর রহিম বলেন,ইঞ্জিয়ারের অনুপস্থিতিতেই চলছে মেরামত কাজ। অনিয়মের প্রতিবাদ করায় পুলিশ দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হয়রানির হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং অনিয়ম ঢাকতে মিষ্টি খাওয়ার টাকা দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে ঠিকাদার।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ও জেলা স্বাস্থ্য প্রকৌশলীর তত্ত্বাবধানে প্রায় নয় লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে মেরামতের কাজ চলছে তিনতলা বিশিষ্ট চাদপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কল্যাণ কেন্দ্রের মেরামত কাজ। ঝিনাইদহ জেলার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি করছে।ঠিকাদারের নাম অলক কুমার বাবু।
এবিষয়ে বিষয়ে জানতে স্বাস্থ্য সহকারী প্রকৌশলী মাহবুব আলমকে মুঠোফোনে জিজ্ঞেস করলে কাজ ভাল হচ্ছে বলে ফোনটি কেটে দেয়। ঠিকাদার অলোক বলেন,কাজ মিস্ত্রিদের কন্ট্রাক্ট দিয়েছি। এদিক সেদিক হতে পারে।তবে এলাকাবাসী কাজে বাঁধা দেওয়ায় কাজ বন্ধ আছে।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবুল বাসার মোঃ আব্দুল মুত্তালিব বলেন, কাজে অনিয়মের কথা শুনেছি।ঠিকাদারকে কিছু বলতে গেলেই দলীয় প্রভাব দেখায়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীবুল ইসলাম খান বলেন,পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কে দ্রুত তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।