নিজেস্ব প্রতিবেদক,কুষ্টিয়াঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পুঁটিয়াতে অটোচালক বাবুর মেয়েকে ধর্ষনের অভিযোগে ২৬ জুন কুষ্টিয়া সদর থানায় মামলা দায়েরের পর দফায় দফায় মামলাটি রফাদফা করার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করছে মেয়েটির পরিবার বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে পুঁটিয়া গ্রামের বাবুর মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে কুমারখালী পৌর সভার সাবেক কমিশনার মিলনের ছেলে লম্পট রাসেল। গতমাসের ২৫ তারিখে আলাউদ্দিন নগরের কালুমোড় এলাকাতে সুকৌশলে মেয়েটির নিকট আত্নীয় বাহার মেয়েটিকে দিয়ে রাসেলকে ডেকে এনে বাহারের নেতৃত্বে কয়েকজন তাকে মারপিট করে মোবাইল ফোনসহ ম্যানিব্যাগ কেড়ে নেয়। পরের দিন কুমারখালী থানাতে ধর্ষনের অভিযোগে বাহার মেয়েটিকে ও তার বাবাকে সাথে নিয়ে মামলা করতে আসে।
কিন্তু অভিযোগে রাসেল কুষ্টিয়াতে বাসা নিয়ে মেয়েটিকে একাধিকবার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন করার অভিযোগ থাকায় কুমারখালী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাদেরকে কুষ্টিয়া মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরামর্শ দেন। এবং এঘটনায় পরবর্তীতে কুষ্টিয়া মডেল থানাতে ধর্ষন মামলা হয়। এদিকে মামলা এন্টি হবার পর থেকেই শুরু হয় বাহারের নেতৃত্বে মিটমাটের জন্য দর কষাকষি। সাবেক কমিশনার ও রাসেলের পিতা মিলন জানান, আমার ছেলে এমন কিছু করেনি, তবে তারা যেহেতু প্রেমের সম্পর্ক করেছে সে ক্ষেত্রে আমি তাদের বিয়েও দিতে চেয়েছি।
কিন্তু তারা বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে আসছে। রাসেল ইতিপূর্বে দুটি বিয়ে করেছে এবং একাধিক মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে এমন কথা জনশ্রুতি আছে সেক্ষেত্রে কি করে মেয়েটির সাথে বিয়ে দিবেন এমন প্রশ্নের সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবারে নন্দলালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে এটা সমাধানের জন্য দুইপক্ষ বসলে মেয়ে পক্ষ থেকে সর্বশেষ চার লক্ষ টাকা দাবি করলে রাসেলের পক্ষ না মেনে চলে যায়।
তবে এলাকাবাসী বলছে, এমন ঘটনা আলোচনা হবার পর স্থানীয় লম্পট ও নেশাখোর বাহারসহ কয়েকজন মেয়েটির বাবাকে বুঝিয়ে টাকা হাতিয়ে নিতেই এমন কিছু করছে। অপরদিকে গত মাসের ২৫ তারিখে রাসেলের ওপর হামলা করায় বর্তমানে সে রাজশাহীতে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান রাসেলের বাবা মিলন। তবে এ ঘটনা নিয়ে একাধিক মানুষের ভিন্ন ভিন্ন ববক্তব্য পাওয়া গেছে।